পায়ে পানি আসার কারণ

দুই পা ফুলে যাওয়া বা পায়ে পানি আসা একটি খুবই মারাত্মক রোগের লক্ষণ। শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গের যেমন হূদযন্ত্র, লিভার, কিডনী, খাদ্যনালীর কাজের ব্যাঘাত ঘটলে পায়ে ও গায়ে পানি আসে। নিম্নে গায়ে ও পায়ে পানি আসার কয়েকটি কারন সম্বন্ে আলোচনা করা হলোঃ ১. হূদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে-(Congestive Cardiac Failure), উচ্চ রক্ত চাপ, হার্টের রক্ত চলাচলের ব্যাঘাত, […]

শীতে পা ফাটার সমস্যা

শীত এলেই অনেকেরই পা ফাটা শুরু হয়। শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে, বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। এ কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। কখনো পা এত বেশি ফেটে যায় যে ব্যথা বা জ্বালা করে, ক্ষত হয়, ফাটা ত্বক দিয়ে রক্তপাত হয়। ফাটা ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণও হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে শীতে পা ফাটার সুনির্দিষ্ট কারণ থাকে। যেমন সোরিয়াসিসের রোগীদের পা ফাটা শীতকালে বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস, বিশেষ করে ডায়াবেটিসজনিত স্নায়ু–জটিলতায় পায়ে রক্ত চলাচল কমে যায়। নিউরোপ্যাথি বা স্নায়ুরোগেও ত্বক বেশি শুষ্ক হয়। থাইরয়েডের রোগীদেরও এমনটা বেশি হয়। এসব কোনো কারণ না থাকলে সাধারণ কিছু যত্নেই পা ফাটা রোধ করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রধান কাজ হলো পায়ের ত্বক শুষ্ক হতে না দেওয়া। তাই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। কুসুম গরম পানি ও হালকা সাবান দিয়ে পা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। তারপর তোয়ালের সাহায্যে চাপ দিয়ে শুকিয়ে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগান। প্রয়োজনে দিনে দু–তিনবার এটা করা লাগতে পারে। গোসল করার পর একবার পায়ে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সাদা পেট্রোলিয়াম জেলি, ল্যাকটিক অ্যাসিড, লিকুইড প্যারাফিনযুক্ত ময়েশ্চারাইজার এ ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। পা পরিষ্কার করতে হালকা স্ক্রাবার ব্যবহার করা যায়। এতে মরা ত্বক ও টিস্যু উঠে আসবে। তবে খুব জোরে বা শক্ত কিছু, যেমন পাথর দিয়ে ঘষা যাবে না। এতে ত্বক ক্ষত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শীতে এ ছাড়া পায়ের আরেকটি সমস্যা বাড়ে। তা হলো কেরাটোডারমা বা পায়ের ত্বক পুরু হয়ে যাওয়া। কেরাটোডারমা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পায়ে ক্ষত হলে বা রক্তপাত হলে কিংবা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান বিভাগীয় প্রধান, চর্ম বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৪; প্রথম আলো

শীতে বাত ও গোড়ালি ব্যথা

শীতে শরীরের বিভিন্ন রকম ব্যথা-বেদনা বাড়ে। বিভিন্ন বাত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়, যেমন- রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, অস্টিওআথ্রাইটিস, গাউট বা গেঁটে বাত ইত্যাদি। রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস দেখা যায় আক্রান্ত ব্যক্তির হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোতে ব্যথা হয়, জয়েন্টগুলো ফুলে যায়, সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় খুব বেশি ব্যথা করে, তারপর একটু হাঁটাচলা ও কাজ করলে আস্তে আস্তে […]